Best of luck in your future endeavors আর সাথে রইল ঈদের শুভেচ্ছা। --- Manash Kumar Mandal

Manash Mandal >> 

প্রথমেই বলে রাখি, আমি সফল, জ্ঞানী কিংবা অভিজ্ঞ কোনটাই না। তাই আমার এখানে পোস্ট দেয়া কিছুটা হলেও বেমানান। এখানে আমি যেটা শেয়ার করছি পুরোটাই আমার নিজস্ব মতামত ও অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত। ভিন্নমত থাকতেই পারে। আমি পয়েন্ট আকারে কথাগুলো বলব।

.

# Priorities

.

প্রথমতই ঠিক করে নিতে হবে কোন পথে যেতে চাও? তুমি যে ডিপার্টমেন্টে পড় সেটা তোমার সাথে স্যুট করে কিনা। আমার স্যুট করে নি তাই আমি আগেভাগে বিষয়টা বুঝে ট্র্যাক চেঞ্জ করে নেই এবং কয়েকটা নির্দিষ্ট দিক টার্গেট করে স্কিল ডেভেলপ করতে থাকি। এটা বলতে যতটা সহজ শোনায় অত সহজ না, অনেক ট্রায়াল-এরর প্রসেস এবং সময়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। যদি সিজিপিএ কম থাকে এবং ইন্টারেস্ট অন্য দিকে থাকে, তাহলে যেদিকে তোমার ইন্টারেস্ট আছে সেদিকে Breakthrough করতে হবে। এর মানে হল জানার জন্য জানা তা নয়, সেই ইন্টারেস্টে যেন সলিড ব্যাকগ্রাউন্ড নলেজ থাকে। সবচেয়ে ভাল হয় সেদিকে যদি তোমার শো করার মত কিছু কাজ থাকে। যেমন আমার প্রথম ইন্টারেস্ট ছিল এমবেডেড সিস্টেম ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, তাই আমি শখের বসেই এর উপর ভিত্তি করে কিছু প্রজেক্ট করে ফেলি।

.

# Asking Domain Experts

.

এরপরে যেটা আসে ডোমেইন এক্সপার্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা। তুমি যে বিষয়টা আয়ত্ত্ব করতে চাচ্ছ সেটা সম্পর্কে যদি কোন এক্সপার্ট থেকে মতামত আগে নাও তাহলে তোমার ৫০% সময় বেঁচে যাবে। কারণ যারা আগে বিষয়ে দক্ষ তারা তোমাকে আগেভাগে বলে দিতে পারবে কোন পথটা বেটার। প্রশ্ন আসতে পারে এই ডোমেইন এক্সপার্ট কোথায় খুঁজে পাব? ৯০% ভাগ সময় আশেপাশেই পেয়ে যাবা, তোমার ডিপার্টমেন্টের বা অন্য ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র/জুনিয়রদের সম্পর্কে জান তাদের মধ্যে কেউ পারে কিনা, তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দাও। যদি তাও না পাও তাহলে ইন্টারনেটে যাদের ব্লগ পড় কিংবা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখ তাদেরকে মেইলে জিজ্ঞাসা করতে পার। আরেকটা ভাল মাধ্যম হল Quora। 

.

# Building Portfolio

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল এটা। পোর্টফোলিও কীভাবে তৈরি করা যায়। ধরি তুমি ও তোমার ফ্রেন্ড একই কোম্পানিতে অ্যাপ্লাই করলে। তুমি তোমার ফ্রেন্ডের চেয়ে অনেক ভাল জান এবং প্রচুর প্রজেক্ট করেছ কিন্তু তোমার পোর্টফোলিও বলতে শুধু লিঙ্কডইনে অ্যাকাউন্ট আছে আর তোমার ফ্রেন্ডের লিঙ্কডইনের পাশাপাশি নিজের হাতে তৈরি করা ওয়েবসাইটে নিজের যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি তার প্রজেক্টগুলোর শর্ট ডেসক্রিপশন আছে। কার সম্ভাবনা বেড়ে গেল? 

.

পোর্টফোলিও শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, বাইরের ভার্সিটিগুলোতে অ্যাপ্লাই করার সময় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তোমার ইঞ্জিনিয়ারিং কাজগুলোর ডেমো ওয়েবসাইটে থাকলে প্রফেসর একনজর দেখলেই বুঝতে পারবে তুমি ঐ বিষয়ে কতটা এক্সপার্ট। পোর্টফোলিও এমনভাবে বানানো উচিৎ যাতে ইন্টারভিউ বা যেখানেই হোক সবাই যেন তোমার ফিল্ড অফ এক্সপার্টিজ সম্পর্কে অবগত থাকে। In other words, let your portfolio speak for yourself!

## কীভাবে বানাবো?

.

আজকাল .com ডোমেইনের দাম বড়জোর বছরে ৮০০ টাকা। টাকা খরচ করতে না চাইলে .wordpress.com ডোমেইনে একটা ওয়ার্ডপ্রেস.কম অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পার। একপয়সাও খরচ হবে না। পরে .wordpress.com থেকে .com এও কনভার্ট করতে পারবে। 

যারা হাল্কা পাতলা কোডিং পার যেমন HTML, CSS তারা সহজেই গিটহাবের GitHub pages সার্ভিস ব্যবহার করে Jekyll এর মাধ্যমে স্ট্যাটিক সাইট জেনারেট করতে পারবে ( http://programminghistorian.org/…/building-static-sites-wit…)। এতেও কোন খরচ নাই সাথে SEO একদম ফ্রি। কিছুটা সময় দিলে দুই তিন মাসের মাথায় নিজের নাম সার্চ দিলে গুগল সার্চের প্রথম পাতায়ই চলে আসতে পারে। আর এই ওয়েবসাইট আলাদা .com ডোমেইন কিনে লিঙ্ক করে দেয়া যায়। Hosting লাগবে না। http://mandal.manash.me - এটা আমার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট, চাইলে দেখে নিতে পার সচরাচর এইরকম ওয়েবসাইট কেমন হয়।

## ওয়েবসাইটে কী রাখবো?

.

নিজের সম্পর্কে কয়েকটা লাইন। ইন্টারেস্ট কী কী। কোন প্রজেক্ট করা থাকলে তার সংক্ষিপ্ত ডিটেইলস। তোমার স্কিল কী কী। পাবলিকেশন থাকলে সেটার লিঙ্ক। পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটের অনেক উদাহরণ নেটেই আছে।

## ব্লগিং করতে চাইলে?

.

একটা বিষয় সম্পর্কে তুমি জান কিন্তু নেটে রিসোর্স নেই, তখনই সুযোগ থাকে কিছু করার। এটা হতে পারে ব্লগ লিখে সবার সাথে শেয়ার করা। বর্তমানে শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মিডিয়াম (medium.com) বেস্ট। 

.

## লিঙ্কডইন 

.

লিঙ্কডইন প্রোফাইলটা একটা দিন সময় দিয়ে তৈরি করে ফেল। এটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমার নিজেরটাই এখনো ঠিকঠাক করতে পারি নিঁ।

# Self Branding

.

আর সবকিছুর মত সেল্ফ ব্র্যান্ডিংটাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তোমার ঢাক অন্য কেউ পিটিয়ে দেবে না, সেটা নিজেকেই পেটাতে হবে। অনেকে এটা করতে লজ্জা পায়, আমি নিজেও পেতাম। এখন নির্লজ্জ হয়ে গেছি। তাতে সুবিধাই হয়েছে। অনেক বড় ভাইদের থেকে সাহায্য পেয়েছি যেটা এই ঢাক না পিটালে পেতাম না।

এখন কথা হল সেল্ফ ব্র্যান্ডিং কীভাবে করবে? উত্তর একটাই, ফেসবুক। তোমার ইন্টারেস্টের গ্রুপগুলোতে জয়েন করে ফেলো এবং তোমার কাজ সেই **রিলেটেড** গ্রুপের সাথে শেয়ার কর। গ্রুপ কেউ সমস্যা দিলে, সেটা জানা থাকলে সল্ভ করার ট্রাই কর। পরবর্তীতে অবশ্যই তোমার কাজে সে রেসপন্ড করবে।

রিলেটেড এ জোর দেয়ার কারণ হল, অনেকে সেল্ফ ব্র্যান্ডিং অতিমাত্রায় করে ফেলে। তোমার অটোক্যাডের কাজ যদি মাইক্রোকন্ট্রোলারের গ্রুপে শেয়ার কর তাহলে সেটা কেউ ভালভাবে নিবে? অবশ্যই না। গ্রুপে শেয়ার করার পাশাপাশি নিজের ওয়ালের মাধ্যমে শেয়ার কর। হাজার হাজার সেল্ফি আপ্লোডারদের ভীড়ে তোমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলে ক্ষতি কী?

.

# Jobs and Interviews

প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে জব ইন্টারভিউয়ের আগে যেখানে অ্যাপ্লাই করছ সেটা সম্পর্কে একটু স্টাডি করতে হবে। যেমন তারা কি প্রোডাক্ট বানায়, সুযোগ সুবিধা কী, রেভিনিউ কেমন, কাজের স্কোপগুলো কী ইত্যাদি ইত্যাদি।

এটা স্টাডি করলে – ‘আমি তোমাকে কেন হায়ার করব?’। এই প্রশ্নের জবাব দেয়া একদম সহজ হয়ে যাবে। আমাকে এটা জিজ্ঞাসা করায় আমি বলি, যেহেতু এই কোম্পানিতে IoT বেজড প্রডাক্ট তৈরি হচ্ছে তাই এখান থেকে প্রাপ্ত ডেটা অ্যানালাইসিস করার জন্যও স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা ডেটা মাইনার লাগবে। যেটা আমি একাই করতে পারব।

খেয়াল রাখতে হবে ওভারস্মার্ট বা ওভারডাম্ব না হও। যেটা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে চটপট উত্তর দিতে হবে। সবকিছু পারা লাগবে এমন কোন কথা নাই। ইন্টারভিউয়ার এক্সপেক্টও করে না সেটা।

ইন্টারভিউ শেষে অবশ্যই তুমি নিজেও কিছু প্রশ্ন করবে। যেমন সুযোগসুবিধা কী, ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থা আছে কি নাই এই নিয়ে।

.

# Pivoting

.

একটা জিনিস আমি খেয়াল করে দেখেছি, অনেকে একটা কিছু না পারলে ভাবে আচ্ছা তাহলে আমি ঐ জিনিসটা শিখলে এটা ব্যাকাপ দেয়া যাবে। এটা চিন্তা করা ভাল কিন্তু খারাপ দিক হল যদি যেটা আমি শিখতে চাই সেটার প্রতি আসলেই আমার ইন্টারেস্ট নাও থাকতে পারে। রেজাল্ট খারাপ হল কি আমি রোবটিক্স নিয়ে বসে গেলাম। 

.

রোবটিক্স যত ইজি মনে হয় ততটা না, একটা পর্যায় পর্যন্ত ইজি কিন্তু কম্প্লিকেটেড কাজ করতে গেলে অনেক অনেক বিষয়ের উপর এক্সপার্ট হতে হয় যেমন: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কম্পিউটার ভিশন ,এমবেডেড সিস্টেম, পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, মেকানিক্স ইত্যাদি।

.

তারমানে হয়ত ইন্টারেস্ট না থাকলেও তুমি লাইন ফলোয়ার বানাতে পারবা কিন্তু এর চেয়ে উপরের লেভেলের কাজগুলো করতে পারবা না যদি সেই ডোমেইন এক্সপার্টিজ না থাকে। তাই একটার ব্যাকাপ দিতে গিয়ে অন্য যে পথ বাছাই করবা সেটার কম্প্লেক্সিটি সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করবা, আদৌ তুমি সেটা করতে পারবে কিনা।

# Getting Out of The Comfort Zone

.

আমি যা পারি সবসময় যদি সেটাই করতে থাকি তাহলে আমি নতুন কিছু জানব না বা শিখব না। ওই জিনিসটা কঠিন, আমার দ্বারা হবে না এমন চিন্তাচেতনা রাখাটাই ভুল। নতুন কিছু শেখার ফ্লো তৈরি করতে শুধু ২০ ঘণ্টা ডেলিবারেট প্র্যাক্টিস দিলেই সেটা আয়ত্ত্বে চলে আসে ( https://www.youtube.com/watch?v=5MgBikgcWnY )

তাই কমফোর্ট জোনের থেকে বেরিয়ে আসাও খুব দরকার। 

.

নতুন কিছু ট্রাই করা এখন তোমার ইচ্ছার ব্যাপার। এখন রিসোর্সেরও অভাব নাই, আর ঘরে ঘরে হাই স্পিড ইন্টারনেট অ্যাভেইলেবল। সবাই ফ্রিতে স্ট্যানফোর্ড বা MIT তে না গিয়েও সেখানের ক্লাস সহজেই করতে পারে। ফেসবুকের থেকে edX, Coursera তে সময় বেশি দাও, প্রবলেম সেটগুলো সল্ভ করার ট্রাই কর।

# Learn Mathematics

.

এইটা একটু অদ্ভুত সাজেশন। সচরাচর কেউ দেয় না। আমি জানি কুয়েটে প্রায় কমবেশি সবার ৪টা ম্যাথ কোর্স করা লাগে। এত ম্যাথ করার পরও দেখা যায় অনেকেই রিসার্চ পেপার পড়ে বুঝতে পারে না বা ইম্প্লিমেন্ট করতে পারে না। এর কারণ হল ম্যাথ আমরা চোখ বুজে করে আসি, কোন নোটেশনের জিওমেট্রিক বা ফিজিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশন গুলা বুঝি না।

ম্যাথ অনেক বিশাল জিনিস তবে কয়েকটা শাখা মোটামুটি আয়ত্ত্ব করা তেমন কোন ব্যাপার না। টার্গেট যদি রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার, প্রোডাকশন রিসার্চার অথবা রিসার্চার হওয়া হয় তাহলে ম্যাথ জানাই লাগবে। আর যে পেপারই পড় না কেন, হোক সেটা বায়োমেডিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্সের সবখানেই আল্টিমেট লক্ষ্য থাকে ম্যাথেমেটিক্যাল মডেল বিল্ডিং ও তার অপ্টিমাইজেশন। ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেল যেকোন কিছু হতে পারে।

ম্যাথের কোন শাখা বেশি দরকারী? সবচেয়ে দরকারী হল লিনিয়ার অ্যালজেব্রা। বাইরের ভার্সিটিতে Gilbert Strang এর বইটা পড়ানো হয়, নীলক্ষেতে চতুর্থ এডিশন পাওয়া যাবে। আমার পড়া অন্যতম বেস্ট বই। 3blue1brown এর Essence of Linear Algebra এর ইউটিউব সিরিজ আছে, সময় করে দেখে ফেলতে পারো। ভিজুয়ালাইজেশন *_*, জাস্ট মাইন্ডব্লোয়িং।

এরপর লাগে Probability, Introduction to Probability. Dimitri P. Bertsekas and John N. Tsitsiklis বইটা অসাধারণ, নীলক্ষেতে পাওয়া যেতে পারে অথবা PDF প্রিন্ট করিয়ে নিতে পার। Probability ও Statistics লাগে না এমন কোন ফিল্ড নাই। DIP, DSP, AI সবক্ষেত্রে দরকারী।

Multivariable Calculus (3blue1brown এর Essence of Calculus সিরিজটাও অসাধারণ), অত্যন্ত দরকারী তবে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো (Hessian, Jacobian, Lagrange Multiplier etc) খান একাডেমি থেকে দেখতে পার কারণ সেটার রিসোর্স তৈরি করেছেন 3blue1brown।

ডিফারেনশিয়াল ইক্যুয়েশনও গুরুত্বপূর্ণ। রোবটিক্সে ইন্টারেস্ট থাকলে অবশ্যই এটা জানতে হবে। শুধু ইক্যুয়েশন সল্ভ করে সেটা না, একটা সমস্যা ডিফারেনশিয়াল ইক্যুয়েশন দিয়ে কীভাবে ম্যাথমেটিক্যালি মডেল ও সল্ভ করা যায় সেটাও জানতে হবে।

Differential Equation এর সাথে Complex Analysis অনেক ক্ষেত্রে জড়িত তাই যদি Complex Analysis শিখতে হয় সেটার জন্য ভাল বই হল Visual Complex Analysis। ইনটুইশন পাওয়ার জন্য Welch Labs এর Imaginary Numbers Are Real ইউটিউব সিরিজটা দেখতে পারো।

বিলিভ মি, কাছের বন্ধু দূরে চলে যাবে, প্রেমিক/প্রেমিকা ছ্যাঁকা দিবে কিন্তু এই ম্যাথ একবার ভালবাসলে এ তোমাকে প্রতিটা ক্ষেত্রে হেল্প করবে; কখনোই ছেড়ে যাবে না :P। আমার পরিচিত একজন বিখ্যাত ভার্সিটিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিসার্চার, পেপারও পাবলিশ করে কিন্তু লেটেস্ট রিসার্চ পেপার পড়ে বুঝতে পারে না, কারণ? বুঝে নাও।

# Self Improvement

মনে বড় কষ্ট? কেউ নাই মোটিভেট করার মত? Medium এ সেল্ফ ইম্প্রুভমেন্টের জন্য আর্টিকেল পড় নিয়মিত। দেখ তারা কী বলে। Thrive Global, The Mission এর মত পাবলিকেশন আছে। এগুলা পড়লে মনঃকষ্ট দূর হলেও হতে পারে।

# Know your limits and limitations

নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা দরকারী। কোন কিছু কত দ্রুত পিক করা ও একটা কাজ শেষ করতে কত সময় লাগে বা লাগতে পারে নিজের সম্পর্কে জেনে নিবা। দরকার হলে ডেডলাইন সেট করে। অ্যানাদার পিস অফ অ্যাডভাইস, Don’t be a perfectionist, be a finisher। তুমি কখনোই কোন জিনিস বিল্ড করতে পারবে না যেটা শতভাগ ত্রুটিমুক্ত। Why bother? তুমি যেটা বানিয়েছ সেটা দিয়ে কি কাজ চলে যাচ্ছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, নেক্সট প্রজেক্টে চলে যাও।

# Connecting the dots

শুধু শিখলেই চলে না, কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হয় সেটাও জানা লাগবে। Antidisciplinary প্রজেক্ট করার ট্রাই কর। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ফ্রেন্ডদের সাথে মিশে তাদের সাথে চিন্তাধারা শেয়ার করো। নতুন কোন আইডিয়া বের হওয়া খুবই সম্ভব।

# Keep alive your earned talents

ছোটবেলায় কষ্ট করে অর্জন করা কোন গুণাবলি থাকলে যেমন গান গাওয়া, ছবি আঁকা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো সেগুলা গ্যাপে গ্যাপে প্র্যাক্টিস করে ঠিক রাখবা। ক্লাস ৯-১০ এ থাকতে সাপ্তাহিক তবলা শিখতাম। এখন আফসোস হয় প্র্যাক্টিস না থাকার কারণে। এটা কোনভাবেই যেন না হয়।

# Enjoy the Journey

সবসময় কাজ করা ভাল তা কিন্তু না। পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টারটেইনমেন্টেরও দরকার আছে। কখনো দেখা গেছে বড়সড় সমস্যায় পড়লে টিভি সিরিয়ালের এপিসোড দেখা শুরু করি এবং এপিসোড শেষ হওয়ার পাশাপাশি আমার সমস্যাও সল্ভড হয়ে গেছে।

কখনোই টেনশন করবে না। তুমি X-men এর প্রফেসর X না যে চিন্তা করেই সবকিছু কন্ট্রোল করতে পারবে। তোমার কন্ট্রোলে আছে চেষ্টা, বাকিটা যা হয় হবে। ওটা নিয়ে চিন্তা করলেও হবে না করলেও হবে। টেনশন চলে আসলে অন্য একটা কাজে বিজি হলেই টেনশন গায়েব হয়ে যাবে। তবে চেষ্টা যেন ১০০% থাকে।

আনএক্সপেক্টেড ব্যাপার অহরহ ঘটবে, সেটা নিয়া চিন্তা করার কিছু নাই। ভার্সিটিতে থাকতে ২০১৩ সালের দিকে এক বড় ভাই বলেছিলেন, "তুই কখনো ভেবেছিলি তোর একসময় বিকালের নাস্তা করতে হবে তেলিগাতিতে বনরুটি খেয়ে?” চিন্তা করে দেখলাম আমি আসলেই ভাবিনি :P। যে আমি সচরাচর রান্নাঘরে ঢুকতাম খাবার খাওয়ার জন্য, আর এখন আমাকে পরিস্থিতির প্রেশারে রান্না করাও শিখতে হচ্ছে। :v

শেষ কথা হচ্ছে, কারও অ্যাডভাইস না নেয়াই ভাল। হয়তবা সেই অ্যাডভাইস হয়ত নিজেকে দেয়ার চেষ্টা করছে :P । সবার উদ্দেশ্য এক না, তাই একইরকম অ্যাডভাইস সবার জীবনে কাজে আসবে এমনটা ভাবা বোকামি।

ফাঁকা কলসি বাজে বেশি, আমিও একটু বেশি বকে ফেললাম। Best of luck in your future endeavors আর সাথে রইল ঈদের শুভেচ্ছা। 

---

Manash Kumar Mandal

Embedded System Engineer @AplombTech BD Ltd

EEE – 2k12